সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪
প্রচ্ছদগারো ব্লগসগারোদের আদি ধর্ম

গারোদের আদি ধর্ম

গারোদের আদি ধর্ম সাংসারেক। ঐতিহাসিকদের মতে, গারোদের এই সাংসারেক ধর্ম বিশ্বের সংখ্যাগুরু খ্রীষ্টিয়ান এবং ইসলাম ধর্মের চেয়েও প্রাচীন।

অনেকের মতে সনাতন বা হিন্দু ধর্মের সমসাময়িক; তাই মেজর এ প্লেফেয়ার তাঁর The Garos গ্রন্থে হিন্দু ধর্মের মত এই সাংসারেক ধর্মকেও Animism-এ বিশ্বাসী বলে উল্লেখ করেন।

Wikipedia-তে Animism-এর সংজ্ঞায় বলা আছে, Animism (from Latin anima, "breath, spirit, life")[1]HYPERLINK "https://en.wikipedia.org/wiki/Animism"[2] is the worldview that non-human entitiesÍsuch as animals, plants, and inanimate objectsÍpossess a spiritual essence.

আবার বলা আছে:

Animism encompasses the belief that there is no separation between the spiritual and physical (or material) world, and souls or spirits exist, not only in humans, but also in some other animals, plants, rocks, geographic features such as mountains or rivers, or other entities of the natural environment, including thunder, wind, and shadows. Animism thus rejects Cartesian dualism. Animism may further attribute souls to abstract concepts such as words, true names, or metaphors in mythology. Some members of the non-tribal world also consider themselves animists (such as author Daniel Quinn, sculptor Lawson Oyekan, and many Neopagans).

সাংসারেক এর বিশ্বাস

অর্থাৎ ব্যাপক অর্থে Animism শব্দের অর্থ বহু দেবতা এবং উপদেবতায় বিশ্বাসকে বুঝায়।

গারো নৃ-গোষ্ঠী সর্বপ্রাণবাদী। খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহণ করার আগে তাদের আদি ধর্মের নাম ছিল সাংসারেক। এই সাংসারেক গারো নৃ-গোষ্ঠী সর্বপ্রাণবাদী।

তবে, অন্যান্য ধর্মের মত এ সাংসারেক ধর্মের কোন প্রমানপত্র বা ধর্মগ্রন্থ নেই। আদিমকাল থেকে এই ধর্ম মুখে মুখে এবং ধর্মাচার পালনের মধ্য দিয়ে আজ পর্যন্ত যৎসামান্য টিকে রয়েছে। উল্লেখ্য, গারোদের আদিধর্ম সাংসারেক ধর্মের সাংসারেক ধর্মে প্রায় ৭০০০ দেবতা, উপদেবতা রয়েছে।

সাংসারেক ধর্ম অনুযায়ী তারা আকাশ, বাতাস, সুর্য, চন্দ্র এবং নক্ষত্রের পূজা করে, বাস্তুভিটার পূজা করে, ফসলের ভাণ্ডারের পূজা করে, ঘরের খুঁটির পূজা করে। এমনিভাবে সব কিছুতেই তারা প্রাণের অস্তিত্ব স্বীকার করে নিয়ে তাদের দৈনন্দিন ক্রিয়া-কর্ম, উৎপাদন ও জীবন-সংগ্রাম পরিচালিত করে। গারো জাতির আদি ধর্ম প্রসঙ্গে Major A. Playfair তাঁর The Garos গ্রন্থে বলেছেন-

Like all animistic religions, that of the Garo consists of the belief in a multitude of beneficent and malevolent spirits. To some is attributed the creation of the world, to others the control of natural phenomena; and destinies of man from birth to death are governed by a host of divinities whose anger must be appeared and whose good offices must be entreated in like manner.

গারোদের আদি ধর্ম Animistic

Animistic বলতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন উপকারী ও অনিষ্টকারী বহু উপদেবতায় বিশ্বাস। এই বিশ্বাসকে ঘিরেই গারো নৃ-গোষ্ঠীর জীবনে অসংখ্য কৃত্য বা Ritual বিদ্যমান। তাদের রয়েছে একটি সমৃদ্ধ মিথ (Myth) বা পুরাণ। গারোদের আদি ধর্ম বহু-দেবতা ভিত্তিক।

বিশ্বসৃষ্টির ইতিহাস, মানুষ সৃষ্টির ইতিহাস, পৃথিবীর জন্ম ও মানুষের বসবাসসংক্রান্ত পুরাণ কাহিনী। এমনকি নৃত্য-গীত-বাদ্যেরও স্বতন্ত্র দেবতা ও পুরাণ বিদ্যমান। অন্য অনেক আদিম জাতির মতোই গারো নৃ-গোষ্ঠী সূর্যপূজাকে সর্বোচ্চ কৃত্য বা Ritual গণ্য করে। এই ধর্মে সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি, বজ্র, বৃষ্টি প্রভৃতির পূজার বিধান রয়েছে।  কিন্তু এর পাশাপাশি গারোরা সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বরাবর বিশ্বাস করে এসেছে। তিনি যে এই পৃথিবীর সবকিছুর স্রষ্টা এ বিশ্বাস গারোদের মধ্যে ছিল। গারোরা একইসঙ্গে মানবদেহে আত্মার অস্তিত্বে বিশ্বাসী এবং সেই আত্মা যে অবিনশ্বর এটাও তারা বিশ্বাস করে। তারাও হিন্দুদের মতো জন্মান্তর বাদে বিশ্বাসী। গারোদের প্রথাগত বিশ্বাস ও সংস্কার সর্বস্ব একটি অনানুষ্ঠানিক কৃষিভিত্তিক ধর্মোৎসব রয়েছে। জমির উর্বরতা বৃদ্ধি, ফসল সংরক্ষণ, রোগশোক, মহামারী, ভূত-প্রেত-রাক্ষস ইত্যাদি অদৃশ্য অপশক্তির অমঙ্গল থেকে বাঁচার জন্য তারা বারো মাসে তেরো কিংবা ততোধিক ব্রত ও পর্ব-পার্বণ পালন করে।

সূর্য বা সালজং দেবতা তাদের জীবনের যেকোনো প্রতিকূল অবস্থার আশ্রয়স্থল। ‘নস্তু-নপান্তু’ গারো নৃ-গোষ্ঠীর আরেক দেবতা। ‘তাতারা রাবুগা’ গারো নৃগোষ্ঠীর পুরাণ অনুযায়ী বিশ্বস্রষ্টা।

RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

সর্বশেষ খবর

সর্বশেষ মন্তব্য